সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় গাছবাড়ি একটি খুব দ্রুত অগ্রসরমান এলাকা। জ্ঞান বিজ্ঞান, নারীর ক্ষমতায়ণ, নারী শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে গাছবাড়ি এলাকা এক অমিত সম্ভাবনাময় জনপদ। একই সাথে ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি- এই উপাদান গুলো অত্র এলাকার আবহমান কাল থেকে চলে আসা এক গৌরবমন্ডিত বৈশিষ্ট্য।
শহরায়ণের যত গুলি বৈশিষ্ট আমরা বইয়ের পাতায় দেখেছি তার প্রায় সব গুলোই এখন গাছবাড়িতে বিরাজমান। শিক্ষা প্রসারে এখানে একটি কলেজ, একটি হাইস্কুল, একটি কামিল মাদরাসা আছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের দুটি প্রাইভেট স্কুল আছে। একটি দাখিল মহিলা মাদরাসা আছে, একটি গার্লস স্কুল আছে। প্রাইমারি লেভেলে সরকারি বেসরকারি বেশ কটি স্কুল আছে। এমন অবস্থায় জনবসতি বিবেচনায় নিয়ে গাছবাড়িতে মহিলা কলেজের অভাব অনুভূত হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে।
কানাইঘাট উপজেলায় একটি মাত্র বেসরকারী মহিলা কলেজ আছে কানাইঘাট সদরে। এমন প্রেক্ষাপটে গাছবাড়িতে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত উইমেন্স কলেজ প্রতিষ্টার উদ্যোগ গ্রহণ করেন আহমদ সালেহ বিন মালিক। সিলেট শহরে লাভজনক একটি প্রাইভেট উইমেন্স কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত থাকায় তাঁর এ ধরণের প্রতিষ্টান পরিচালনার বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের অনেকের সাথে আলাপ পরামর্শ করেও কলেজের ভবিষ্যত বাস্তবতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করা হয়।
আহমদ সালেহ বিন মালিক অক্সফোর্ড প্রবাসী ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন এবং শিক্ষা পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব করেন। কলেজের অবকাঠামোগত সব দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা দু'জন এ বছরই কলেজ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। মহান রাব্বুল আলামীনের পবিত্র নাম স্মরণ করে ১৯ জুলাই ২০২০ ইংরেজি তারিখে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে "গাছবাড়ি উইমেন্স কলেজের" আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করি।
দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত আমাদের এলাকার সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এবং শুভ কামনা আমাদেরকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। একই সাথে আমরা পরিচালক সংগ্রহের কাজ শুরু করি। নানা বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে প্রবাস থেকে সিংহভাগ পরিচালক নেয়ার একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা নিয়ে রাখি। আল্লাহর অশেষ কৃপায় খুব কম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচালক আমাদের সাথে জয়েন করে কলেজ পরিচালনা কার্যক্রম বেগবান করতে সহায়তা করেন।
এখন আমরা সব পরিচালক মিলে একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী পরিবার। "গাছবাড়ি উইমেন্স কলেজ" আমাদের সবার প্রতিষ্টান। কলেজের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে জ্ঞান, বিবেক ও মেধা ভিত্তিক সর্বোচ্চ প্রয়াস চালানোর মাধ্যমে কাংখিত সফলতা পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।